প্রধান প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের সিংরাউন্দ গ্রামে ভ্যান চুরির সালিশকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন আদিল মিয়া। সেই হত্যাকা-ের পর থেকে অদ্যাবধি চলছে আসামী, নন আসামী ও সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন ও নিপীড়ন। কথা বললেই ‘অজ্ঞাত তালিকায়’ নাম উঠে যেতে পারে এমন আতঙ্কে ‘পুরো গ্রামবাসী। আসামী ও তাদের পরিবারের লোকজন দেশের এক প্রান্ত থেকে ছুটে বেড়াচ্ছে অন্যপ্রান্তে। কোভিড-১৯ মহাদুর্যোগেও বাড়ি ফিরতে পারছে না এসব পরিবারের স্বজনরা।
গোয়ালের গরু নেই, বাড়ির চিহ্নটুকুও নেই, খামারের হাঁস, পুকুরের মাছ, সন্তানদের লেখাপড়ার বইপত্র নেই, বাড়ি নেই, ঘর নেই, গাছপালাও কেটে নেয়া হয়েছে। উত্তেজিত জনতা নয়, পরিকল্পিতভাবে চলছে এ লুটপাট।
এমন লুটপাটের শিকার অসহায় নারী সাথী আক্তার ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নিকট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ১২জুলাই। এ আবেদনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। সেই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এসব লুটপাটের ঘটনায় মামলা নেয়নি গৌরীপুর থানার পুলিশ। লুটপাটে অংশ নিয়েছে হেলিম মিয়া, মিজান মিয়া, বাবু মিয়া, সিরাজ মিয়া, শাকিল মিয়া, মামুন মিয়া, রাসেল মিয়া, খায়রুল, হবুল মিয়া, সালাম মিয়া, হাসেম মিয়া, সিরাজ মিয়া, নজরুল ইসলাম, ওয়াসিম
হত্যাকা-ের ৭নং আসামী মোঃ কাঞ্চন মিয়া। তবে তার স্ত্রীর দাবির ভ্যান চুরির ঘটনায় সালিশের সময় সিরাউন্দ বাজারে তিনি তার দোকানে ছিলেন। সেখান থেকে উত্তেজিত জনতা শান্ত করতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন কাঞ্চন মিয়া। তাকে প্রথম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে যখন সংঘর্ষ হয় সেই সময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলো আমার স্বামী। অথচ তাকেও ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে হত্যাকা-ের ঘটনায়।
অপরদিকে কাঞ্চনের স্ত্রী সাথী আক্তার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে জানান, রাইস মিলের ঘর টিনসেট, ওয়ারিং মিটার বোর্ড, মিটার ও ৩টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার, ১৫ ঘোড়া মটর, ধান ভাঙার হলার, মরিচ ভাঙার হলার, চাউল ভাঙার হলার, ধনিয়া ভাঙার হলার, মটর ২০ ঘোড়া হর্সের একটি জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এতে ৩লাখ ৪০হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুটপাট হয়। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা নিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, মামলা নিয়ে আসার পর মামলা নেয় হয়নি, এ অভিযোগ সত্য নয়। হত্যাকা-ের পর আসামীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে বা লুটপাট হলে অভিযোগ দিতে পারেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টি.কে ওয়েভ-ইন